ভারত-শাসিত কাশ্মিরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)-কে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং হামলাকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ বলে অভিহিত করেছে ।
হামলার পর ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:
পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের ইন্দাস ওয়াটার চুক্তি স্থগিত করা
ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া
পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং ভিসা বাতিল করা
পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
ভারতের সঙ্গে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি স্থগিত করা
ভারতের কূটনীতিকদের বহিষ্কার
আকাশসীমা ও বাণিজ্য পথ বন্ধ করা
এদিকে, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে, পাকিস্তানি সেনারা ‘ছোট অস্ত্রের উসকানিমূলক গুলিবর্ষণ’ করেছে, যার জবাবে ভারতীয় সেনারা পাল্টা গুলি চালিয়েছে ।
এই পরিস্থিতিতে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জম্মু অঞ্চলের গ্রামবাসীরা তাদের বাঙ্কার পরিষ্কার করছেন এবং ফসল তোলার কাজ ত্বরান্বিত করছেন ।
বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক মহল এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ এই উত্তেজনা কেবল ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককেই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকেও প্রভাবিত করতে পারে।